শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত যতদিন নির্বাচন হবে না, ততদিন স্বাভাবিক অবস্থায় দেশে ফিরে আসবেনা-অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু আলু চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন লালমনিরহাটের কৃষকেরা লালমনিরহাটে সরকার ফার্মেসী এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি (জিআর) চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিষ্টি আলু চাষে লালমনিরহাটের কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে লালমনিরহাটে সাংবাদিকের পিতা কাশেম আলীর ইন্তেকাল পরিচ্ছন্ন রাজনীতি বুকে ধারণের মাধ্যমে আমরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো-লালমনিরহাটে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লালমনিরহাটে তুলার চাষে লাভের মুখ দেখছে কৃষেকরা লালমনিরহাটে কর্মসৃজন কর্মসূচি শুরু না হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন কর্মহীনরা
বাফার গুদাম থেকে সরাসরি সার কিনতে চায় কার্ডধারী খুচরা বিক্রেতারা

বাফার গুদাম থেকে সরাসরি সার কিনতে চায় কার্ডধারী খুচরা বিক্রেতারা

বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার (বাফার) গুদাম থেকে সরাসরি সার কিনতে চান প্রান্তিক পর্যায়ের কার্ডধারী খুচরা সার বিক্রেতারা।

 

রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে কৃষি উপদেষ্টা বরাবরে লিখিত দাবি তুলেন জেলার কার্ডধারী খুচরা সার বিক্রেতারা।

 

জানা গেছে, কৃষকদের হাতের নাগালে ন্যায্যমুল্যে সার বিক্রির লক্ষ্যে ২০০৯ সালে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে কার্ডধারী খুচরা সার বিক্রেতা নিয়োগ করে সরকার। প্রতিটি খুচরা বিক্রেতা ৩০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে কৃষি অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধিত কার্ড সংগ্রহ করেন। সেখানে এসব কার্ডধারীরা ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলারের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে সরাসরি কৃষকদের মাঝে বিক্রি করবেন। এ ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলার বাফার গুদাম থেকে সার কিনে তার বরাদ্দের অর্ধেক কার্ডধারী খুচরা বিক্রেতাদের নিকট কেজি প্রতি এক টাকা কমিশনে বিক্রি করবেন। খুচরা বিক্রেতারা ডিলারের নিকট ক্রয় করে সরাসরি কৃষকদের মাঝে বিক্রি করতে পারবেন। এতে সরকারের বেঁধে দেয়া মুল্যে সার ক্রয়ের সুযোগ পান কৃষকরা। একই সাথে সার ক্রয়ের কৃষকদের ভোগান্তি লাঘব হয়। সার মজুদ সিন্ডিকেট ভাঙতে ও সার পাচার রোধে এ সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

 

এমন সিদ্ধান্তে প্রথম দিকে ইউনিয়ন পর্যায়ের বিসিআইসি ডিলাররা বাফার গুদাম থেকে সার কিনে বিধিমত কার্ডধারীদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌছে দিত। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই কার্ডধারীদের নিকট সার বিক্রি না করে সিন্ডিকেটে বিক্রি করে কালোবাজারে বিক্রি শুরু করেন অসাধু কতিপয় ডিলার। এসব ডিলার কার্ডধারীদের বরাদ্দের সার তাদের না দিয়ে নন কার্ডধারী খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করেন। এতে কেজি প্রতি এক টাকা কমিশন আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে ডিলারদের বিরুদ্ধে। এ কারনে নিবন্ধন করেও কমিশনে সার ক্রয়ে ব্যর্থ হচ্ছেন কার্ডধারী খুচরা সার বিক্রেতারা।

 

বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও সদ্য বিদায়ী সরকারী আওয়ামীলীগ নেতাদের কারনে সফলতা আসেনি বলে দাবি নিবন্ধিত এসব খুচরা বিক্রেতার। এ কারনে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বঞ্চিত রয়েছেন নিবন্ধিত এসব খুচরা বিক্রেতা।

 

নিবন্ধিত খুচরা বিক্রেতা মশিউর রহমান বলেন, আমরা ৩০ হাজার টাকা জামানত দিয়ে খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছি গত ২০০৯ সালে। বিধিমত আমরা ইউনিয়নের ডিলারের বরাদ্দের অর্ধেক সার কেজি প্রতি এক টাকা কমিশনে পাওয়ার কথা। কিন্তু আমাদের না দিয়ে অনিবন্ধিত খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন ডিলাররা। ফলে আমরা কমিশনে সার না পেয়ে কৃষকদের সরকারী মুল্যে সার দিতে পারছি না। অনেক সময় সংকট দিখিয়ে বেশি দামে সার কিনতে হয় আমাদেরকে। এমন কি ইউনিয়নের ডিলারের বরাদ্ধ কত থাকে সেই তথ্যও দেয়া হয় না। সার কিনলে কোন রশিদও দেয়া হয় না। অনেক বার বিষয়গুলো নিয়ে অভিযোগ করেছি। কিন্তু সরকারী দলের নেতাদের চাপে তা আলোর মুখ দেখেনি। এ চিত্র গোটা দেশে। তাই আমরা চাই সরাসরি বাফার গুদাম থেকে আমাদেরকে সার ক্রয়ের সুযোগ দেয়া হোক। তবেই আমরা প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের ন্যায্যমুল্যে সার বিক্রি করতে পারব।

 

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাইফুল আরেফিন বলেন, জেলায় মোট ৮৬ জন নিবন্ধিত খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছেন। তারা ইউনিয়নের ডিলারের নিকট থেকে ক্রয় করে কৃষকদের নিকট বিক্রি করবেন। ইউনিয়ন পর্যায়ের ডিলারদের নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। নিবন্ধিত খুচরা বিক্রেতারা বাফার গুদাম থেকে কিনতে চাইলে তাদের মনিটরিং করার মত জনবল নেই। তবে নীতিনির্ধারনী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা করা যেতে পারে। তবে সেটা জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্ত।

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রাকিব হায়দার বলেন, নিবন্ধিত খুচরা সার বিক্রেতারা যে দাবি তুলেছেন তা জাতীয় পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। সেটি মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে। আমরা সার বীজ মনিটরিং কমিটির সভায় খুচরা বিক্রেতারা কেন বিধিমত কমিশনে সার পাচ্ছেন না। তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone